Chandrabhaga Dam Project

পাকিস্তানের হুমকিকে পাত্তাই দিচ্ছে না ভারত! চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্পে তৎপরতা বাড়াচ্ছে দিল্লি

Spread the love

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প ও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ইতিহাসে চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Dam Project) নতুন উত্তেজনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছে যে এই প্রকল্প সিন্ধু নদী ব্যবস্থার প্রবাহ কমিয়ে দেবে। কিন্তু ভারত সরকারের বার্তা স্পষ্ট—এটি ভারতের বৈধ উন্নয়নমূলক উদ্যোগ, এবং পাকিস্তানের হুমকিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
এই প্রকল্পকে ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, Indus Waters Treaty, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য—সবকিছুর এক জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে।

প্রকল্পের ইতিহাস: ১৯৬০ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত দীর্ঘ পথচলা

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Hydro Project) ভারতের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো জম্মু–কাশ্মীরের সাওয়ালকোট অঞ্চলে চেনাব (Chenab) বা চন্দ্রভাগা নদীর ওপর একটি শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা, যা একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াবে, অন্যদিকে জলসম্পদ ব্যবস্থাপনাতেও নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। তবে এই প্রকল্পের পথচলা মোটেই সহজ ছিল না। প্রায় ৬৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে আজকের এই অগ্রগতির জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে চন্দ্রভাগা বাঁধ।

সূচনা: ১৯৬০ সালে প্রথম পরিকল্পনা Chandrabhaga Dam Project

১৯৬০ সাল ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। সেই সময় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় চেনাব, ঝেলম ও ইন্দাস নদীর ওপর ভারতের সীমিত অধিকার নির্ধারণ করা হয়। ভারতকে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হলেও, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তানের আপত্তি তোলার সুযোগও রাখা হয়।
এই প্রেক্ষাপটেই চেনাব নদীর ওপর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। চন্দ্রভাগা নদীর প্রবল জলপ্রবাহ ও পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় ১৯৬০ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার এই প্রকল্পের সম্ভাবনা যাচাই শুরু করে। তখন থেকেই এই নদীর শক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বপ্ন ভারতীয় প্রকৌশলীরা লালন করতে শুরু করেন।

১৯৮৪ সালের উদ্যোগ: প্রশাসনিক জটিলতায় থমকে যাওয়া স্বপ্ন Chandrabhaga Dam Project

প্রাথমিক সমীক্ষা ও পরিকল্পনার পর দীর্ঘ দুই দশক ধরে প্রকল্পটি তেমন অগ্রগতি পায়নি। অবশেষে ১৯৮৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগী হয়। তৎকালীন সময়ে জম্মু–কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি প্রাথমিক নির্মাণ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে আর্থিক ও প্রশাসনিক মতবিরোধ প্রকল্পটিকে থামিয়ে দেয়। স্থানীয় জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপ এই পরিকল্পনাকে জটিল করে তোলে। পাকিস্তান তখন থেকেই সিন্ধু জল চুক্তির কথা তুলে আন্তর্জাতিক মহলে আপত্তি জানাতে শুরু করে। ফলে ভারতীয় প্রশাসনের জন্য প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

১৯৮৪ থেকে ২০০০: নীরবতার দশক Chandrabhaga Dam Project

১৯৮৪ সালের উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রকল্পটি কার্যত অচল অবস্থায় পড়ে থাকে। এই সময়ে জম্মু–কাশ্মীরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেন্দ্র সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনেকটাই কমে যায়।
তবে এই সময়ে চেনাব নদীর ওপর ভারতের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা নিয়ে ছোটো ছোটো গবেষণা চলতে থাকে। নতুন প্রযুক্তি ও হাইড্রোপাওয়ার ব্যবস্থাপনার উন্নতির ফলে প্রকল্পটি ভবিষ্যতের জন্য টিকে থাকে।

নতুন সহস্রাব্দে আলোচনার নতুন অধ্যায় Chandrabhaga Dam Project

২০০০ সালের পর ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বাড়তে শুরু করে এবং বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে বহুগুণ। তখন থেকেই জম্মু–কাশ্মীরে পরিত্যক্ত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা শুরু হয়। চন্দ্রভাগা প্রকল্পের পুরনো নথি ও সমীক্ষা পুনরায় খতিয়ে দেখা হয়।
কিন্তু পাকিস্তানের আপত্তি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতার কারণে প্রকল্পটি তখনও গতি পায়নি। বিশেষ করে সিন্ধু জল চুক্তির ধারা অনুযায়ী পাকিস্তান বারবার ভারতের জলবিদ্যুৎ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাঙ্কে অভিযোগ জানায়।

২০২৫: নতুন যুগের সূচনা Chandrabhaga Dam Project

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২৫ সালে চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্পে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক ও জম্মু–কাশ্মীরের নতুন কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন যৌথভাবে প্রকল্পটিকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিক বৈঠক করেছে। কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পকে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, চন্দ্রভাগা বাঁধ সম্পূর্ণ হলে এটি শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই করবে না, বরং জম্মু–কাশ্মীর অঞ্চলে সেচব্যবস্থা ও পানীয় জলের সরবরাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের আপত্তি উপেক্ষা করে ভারতের অগ্রগতি Chandrabhaga Dam Project

২০২৫ সালের শুরুতেই পাকিস্তান আবারও এই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করেছে। ইসলামাবাদ দাবি করছে, সিন্ধু জল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভারত এই ধরনের বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প আন্তর্জাতিক চুক্তি ভঙ্গ করছে না। বরং এটি চুক্তির ধারা মেনে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বজায় রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরিকল্পিত।
ভারত সরকারও পাকিস্তানের চাপকে গুরুত্ব না দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু–কাশ্মীরে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশগত অনুমোদনের কাজ শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের একাধিক যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে নির্মাণের গতি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।

অর্থনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব Chandrabhaga Dam Project

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়, ভারতের কৌশলগত স্বার্থের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত সিন্ধু নদীর জলসম্পদ আরও দক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানকে জল ব্যবস্থাপনায় চাপের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প ভারতের হাত শক্ত করবে।
একই সঙ্গে জম্মু–কাশ্মীরের হাজার হাজার মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং পর্যটন ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলবে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ

২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চন্দ্রভাগা বাঁধ বাস্তবে রূপ পাবে। এটি সম্পূর্ণ হলে ভারতীয় জলবিদ্যুৎ খাতে একটি নতুন মাইলফলক তৈরি হবে। ১৯৬০ সালে যে স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছিল, বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সেই স্বপ্নই আজ বাস্তবের দোরগোড়ায়।
ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে যে, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে চন্দ্রভাগা প্রকল্পের কোনও বিকল্প নেই। এই প্রকল্প সফল হলে এটি হবে ভারতীয় প্রযুক্তি, পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক দৃঢ়তার এক অনন্য প্রতীক।

প্রকল্পের মূল কাঠামো ও লক্ষ্য Chandrabhaga Dam Project

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো হাইড্রোইলেকট্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন (Hydroelectric Power Generation)। প্রায় ১৮৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
এই প্রকল্পে নদীর প্রবাহকে বড় আকারের জলাধারে সংরক্ষণ না করে run-of-the-river পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক স্রোত ও উচ্চতার পার্থক্য কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে।

Indus Waters Treaty: আইনি প্রেক্ষাপট

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালের Indus Waters Treaty (IWT) অনুযায়ী পশ্চিমের তিনটি নদী—ইন্দুস, জেলাম ও চেনাব—মূলত পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ। তবে ভারত এই নদীগুলির জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সীমিতভাবে ব্যবহার করতে পারে।
চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প যেহেতু চেনাব নদীর উপনদীতে, ভারত বলছে এই প্রকল্প IWT-এর নিয়ম লঙ্ঘন করছে না। পাকিস্তান কিন্তু দাবি করছে যে এই বাঁধ downstream-এ পানির প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।

ভারতের অবস্থান: উন্নয়ন ও সার্বভৌম অধিকার Chandrabhaga Dam Project

ভারতের মতে চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Dam Project) দেশের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে।

  1. বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ: জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে বিদ্যুতের অভাব মেটাতে এই প্রকল্প বড় অবদান রাখবে।
  2. অর্থনৈতিক উন্নয়ন: বাঁধ নির্মাণের ফলে কর্মসংস্থান, শিল্পোন্নয়ন এবং আঞ্চলিক অবকাঠামো বৃদ্ধি পাবে।
  3. কৌশলগত প্রয়োজন: সীমান্তবর্তী এলাকায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও কৌশলগত শক্তি বাড়াবে।

পাকিস্তানের উদ্বেগ: পানির অস্ত্র ব্যবহার?

পাকিস্তান দাবি করছে যে ভারত চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Hydro Project) দিয়ে পানিকে “অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তাদের আশঙ্কা:

  • চেনাব নদীর পানির প্রবাহ কমে গিয়ে পাকিস্তানের কৃষি ও পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হবে।
  • Indus Waters Treaty অনুযায়ী নির্দিষ্ট নোটিফিকেশন ও আলোচনার নিয়ম ভঙ্গ হতে পারে।
  • downstream অঞ্চলে পরিবেশগত ক্ষতি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও মৎস্যসম্পদের ক্ষতি ঘটতে পারে।

সাম্প্রতিক অগ্রগতি: দ্রুত তৎপর ভারত

২০২৫ সালে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের জন্য বনভূমি ছাড়পত্র, টেন্ডার ও বাজেট অনুমোদন দিয়েছে।
জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রাথমিক নির্মাণকাজ শুরু করেছে। পাকিস্তান একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে এটি run-of-the-river প্রকল্প, যা চুক্তি ভঙ্গ করে না।

পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব Chandrabhaga Dam Project

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্পের সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাবও আলোচনা হচ্ছে।

  • নদীর ইকোসিস্টেম: পানির প্রবাহ পরিবর্তনে স্থানীয় মাছের প্রজাতি ও জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়তে পারে।
  • ভূমিকম্প ঝুঁকি: হিমালয় ঘেঁষা অঞ্চল হওয়ায় বাঁধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ।
  • জনবসতি স্থানান্তর: প্রকল্প এলাকার কিছু গ্রামবাসীকে পুনর্বাসনের প্রয়োজন হতে পারে।

তবে ভারত সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের Environmental Impact Assessment (EIA) রিপোর্ট তৈরি করা হবে এবং স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্ব ব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে। তবে ভারত বলছে যে চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Dam Project) তার সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ।

অর্থনৈতিক সম্ভাবনা

  • ১৮৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ভারতের উত্তরাঞ্চলের শিল্প ও গৃহস্থালির বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে।
  • প্রকল্প থেকে বার্ষিক রাজস্ব আদায় হবে হাজার কোটি রুপি।
  • পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

ভারতের উন্নয়ন বনাম পাকিস্তানের অভিযোগ

ভারত বলছে Chandrabhaga Dam Project হলো সম্পূর্ণ উন্নয়নমুখী। কিন্তু পাকিস্তান এটিকে রাজনৈতিক চাপের অস্ত্র মনে করছে।
এই দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে যে জলসম্পদ কেবল প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি রাজনৈতিক ও কৌশলগত শক্তির উৎস।

ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

যদি পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালত বা বিশ্বব্যাংকে মামলা করে, তাহলে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।
তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে Indus Waters Treaty অনুযায়ী সব শর্ত মানা হবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই।

চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্প (Chandrabhaga Hydro Project) শুধু একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নয়, বরং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের প্রতীক। পাকিস্তানের অভিযোগ সত্ত্বেও ভারত দ্রুত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
যদি উভয় দেশ পারস্পরিক আস্থা ও আলোচনা বজায় রাখে, তবে প্রকল্পটি আঞ্চলিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কিন্তু যদি রাজনীতি ও অবিশ্বাস প্রাধান্য পায়, তবে এই বাঁধই দুই দেশের মধ্যে নতুন জলবিবাদের সূচনা করতে পারে।

One thought on “পাকিস্তানের হুমকিকে পাত্তাই দিচ্ছে না ভারত! চন্দ্রভাগা বাঁধ প্রকল্পে তৎপরতা বাড়াচ্ছে দিল্লি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *