Tag Archives: What is birth certificate correction 2025?

Name Correction in Birth Certificates in West Bengal 2025


পশ্চিমবঙ্গে জন্ম সনদে নাম সংশোধনের নতুন নিয়ম: বিস্তারিত জানুন

name-correction-in-birth-certificates 2025

পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর ২০২৫ সালের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জন্ম সনদে নাম সংশোধনের নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে। আগে তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল এই প্রক্রিয়া, কিন্তু বর্তমানে এটি আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো রেকর্ডে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং দুর্নীতি রোধ করা।

কেন এই নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হলো?

অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া নথি ব্যবহার করে নাম পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

রেকর্ডে ভুল তথ্য সংযোজন রোধ করা প্রয়োজন ছিল।

সরকারি নথি যাতে প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়, সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।


নতুন নিয়ম অনুযায়ী কী পরিবর্তন হলো?

name-correction-in-birth-certificates 2025

  1. ইচ্ছামতো পরিবর্তন নয়: ব্যক্তিগত কারণে নাম পরিবর্তন করা যাবে না। শুধুমাত্র বানান ভুল বা অফিসিয়াল রেকর্ডে থাকা তথ্যগত ত্রুটি সংশোধন করা যাবে।
  2. প্রমাণপত্র আবশ্যক: সংশোধনের জন্য জন্ম সনদ, স্কুলের সনদপত্র, পরিচয়পত্র (Aadhaar, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদি) এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
  3. আদালতের হলফনামা: প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের নোটারি করা হলফনামা জমা দিতে হবে।
  4. বিজ্ঞাপন প্রকাশ: পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার জন্য একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে।
  5. বাবা-মায়ের নাম সংশোধন: একবার বাবা বা মায়ের নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করা অত্যন্ত সীমিত পরিস্থিতিতেই সম্ভব।

আবেদন প্রক্রিয়া

name-correction-in-birth-certificates 2025

  1. আবেদনপত্র পূরণ: স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে অথবা অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে আবেদন করুন।
  2. নথিপত্র জমা: জন্ম সনদ, প্রমাণপত্র, হলফনামা এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি জমা দিতে হবে।
  3. ফি প্রদান: নির্ধারিত ফি (প্রায় ₹১,১০০ থেকে ₹১,৫০০) প্রদান করতে হবে।
  4. যাচাই প্রক্রিয়া: জমা দেওয়া নথি যাচাইয়ের পর সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হবে।
  5. সংশোধিত সনদ গ্রহণ: প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে সংশোধিত জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

name-correction-in-birth-certificates 2025

আবেদন করার আগে সব নথি সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করুন।

ভুল বানান বা টাইপোগ্রাফিক ত্রুটি তৎক্ষণাৎ সংশোধন করুন, দেরি করলে প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।

জটিল ক্ষেত্রে আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া ভালো।

নিয়মাবলী ভালোভাবে পড়ে আবেদন করুন, যাতে কোনো ধাপে সমস্যা না হয়।


নতুন নিয়মে জন্ম সনদে নাম সংশোধনের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক কঠোর হয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র সঠিক প্রমাণপত্রের ভিত্তিতেই সংশোধন সম্ভব হবে, যা সরকারি নথির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তাই যারা নাম সংশোধনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের উচিত সব নথি প্রস্তুত করে নিয়ম মেনে আবেদন করা।